রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে এখনও তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
সব পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট পর্যালোচনার পর তাকে বাসায় নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বৃহস্পতিবার বলেন, খালেদা জিয়ার বিভিন্ন সমস্যার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তার জন্য গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল টিম সেসব পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক আরও জানান, এখন পর্যন্ত যেসব পরীক্ষা হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে আরও কিছু পরীক্ষার সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড। সেই পরীক্ষাগুলো বৃহস্পতিবার করা হয়েছে। এখন পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারা প্রতিদিন নিয়মমাফিক খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন।
খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর ইতোমধ্যে সিটি স্ক্যান, ইসিজি ও ইকোসহ যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে বড় কোনো জটিলতা পাওয়া যায়নি। তিনি হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন।
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় চিকিৎসক টিম গঠন করে অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন পার হওয়ার পর আবারও খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষা করা হয়; কিন্তু ফল করোনা পজিটিভ আসে। ওই বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও আরও ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এখন খালেদা জিয়াসহ চারজন করোনা পজিটিভ।