শাকিল আহম্মেদ, সরিষাবাড়ি (জামালপুর), প্রতিনিধিঃ
দেশীয় প্যুক্তিতে তৈরি মেশিন দিয়ে কলা গাছের খোলস থেকে তৈরি হচ্ছে সুতা। এই সুতা পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে বিদেশে রপ্তানি করে দেশের কাজে নিজেদের আত্ম নিয়োগ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তরুণ এই উদ্যোক্তাগণ।
সরিষাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজিপুর উপজেলার ৮ নং চরগিরিশ ইউনিয়নের প্রত্যন্তর একটি গ্রামের নাম গুয়াখড়া। আর এই গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ মোহন (২২) ও তার তিন বন্ধু মোঃ নাইম ইসলাম (২১), মোঃশামীম রানা (২৩), মোঃনাঈমুর রহমানের (২৪) মিলে এই কাজ শুরু করেছেন।জানা যায় পার্শ্ববর্তী চরপোগলদিঘা গ্রামের মোঃ আসাদ মিলনের (৩৫) পরামর্শে এবং ইউটিউব দেখে প্রথমে ময়মনসিংহ থেকে তই সুতা তৈরির মেশিন কিনে এনে সুতা উৎপাদন শুরু করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা মোহন বলেন,’ কলাগাছের কলার কাদি কেটে নেওয়ার পর কলা গাছটি নিজের জায়গায় বেড়ে উঠা স্থানেই তাকে পঁচতে হতো। না হয় জমির মালিক ওই গাছটি কেটে সরিয়ে ফেলে দিতো।
কিন্তু এখন আমরা লক্ষীপুর ৭০ চরে মেশিন বসিয়ে গত ১৪ দিন ধরে কলাগাছ দিয়ে সুতা তৈরি করছি। একদিনে ২০-২৫ কেজি করে সুতা তৈরি করছি। নিয়মিত আমরা মাঠ থেকে পরিত্যক্ত এসব কলাগাছ ঘোড়ার গাড়ি যোগে বাড়ি নিয়ে আসতেছি। প্রতিটি কলাগাছের দুই দিকের অংশ কেটে ফেলে খোলস বের করে মেশিনে দেওয়া হচ্ছে। মেশিনের মধ্যে থেকে বের হয়ে আসছে আঁশযুক্ত সুতা। এই সুতা রোদে শুকানো হচ্ছে। শুকানোর পর এই সুতার রং হচ্ছে সোনালী।
কলাগাছের বর্জ্যগুলো জৈব সার হিসেবে ব্যবহারের জন্য আলাদা করে রাখা হচ্ছে। সেই সাথে কলাগাছের পানিও বিক্রি হবে বলে সেগুলো আলাদা করে সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এই সুতা পরিবেশ বান্ধব, বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিদেশি ক্রেতারা এসব সুতা বাংলাদেশ থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এর ন্যায্য দাম কতো আমরা জানতে পারি নি।
কলাগাছ দিয়ে তৈরিকৃত সুতার বাজার দর ঠিক করা, পরিত্যক্ত বর্জ্য জৈব সার হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করা। স্বল্প সুদে আমাদের ঋণের ব্যবস্থা করা হলে এটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব। সেই সাথে বিদেশে সুতা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে বলেও জানান তিনি।