নিউজ ডেস্ক; এস আর টুটুল এম এল!
উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আগামী ১১ নভেম্বর রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিনের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন কামারগাঁ ইউনিয়নবাসী। অত্র ইউপিতে তিনি (২) দুই বার বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত প্রায় (১১) বছর তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের আসনে আশিন থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে কামারগাঁ ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ- ড্রেনেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ-মন্দির ঈদগা মাদ্রাসা এতিমখানাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেছেন। ইউনিয়নের দুস্থ দরিদ্র অসহায় মানুষদের শতভাগ বিভিন্ন ভাতা প্রদান করেছেন। এছাড়াও মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করেন। তাই ভাতা ভোগী ও সুবিধা ভোগীরাসহ সর্বশ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁর প্রতি অত্যান্ত সন্তুষ্ট।
তাই জন-কল্যানকামী উদারমনের ব্যক্তিত্ব, সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি রানিং চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন প্রমানিক কে পুণরায় ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন বলেও জানান ভোটারা।
উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন মূলত কৃষি প্রধান ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও মৎস্যজীবি। তারা কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে মাঠে পরিশ্রম করে ফসল ফলায়। এছাড়াও পার্শ্বে শিবনদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। উক্ত ইউনিয়নের লোক সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার। আর ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৯৬২ জন। এই বিপুল সংখ্যক জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি দীর্ঘ প্রায় (১১) বছর যাবৎ সফল চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর ব্যাপক সুনাম রয়েছে। তিনি বিগত ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে জনগণের সমর্থন নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জনগণকে সাথে নিয়ে গ্রাম গুলোতে উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন। গ্রামের ছোট-ছোট রাস্তায় আরসিসি পাইপ, ইটের সোলিং, ড্রেন, কালভার্ট, গাইড ওয়াল, নলকূপ, মাটির রাস্তা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, ভিজিডির খাদ্য সহায়তা, সেনেটারী ল্যাট্রিন, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজে গ্যারেজ, হাট-বাজারের উন্নয়ন, করোনা কালীন সময়ে মাস্ক বিতরণ, হাত ধৌয়ার জন্য সাবান, হ্যান্ড সেনেটাইজার এবং সচেতনা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। যাহা অতীতে কোন চেয়ারম্যানকে এসব কার্যক্রম করতে দেখা যায়নি। ধনী-দরিদ্র সব মানুষই তার কাছে সমান বলে ইউনিয়নে হাজারো মানুষ জানান।
ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা বেশ কয়েকজন ভ্যানচালক, ভুটভুটি ও অটো চালক বলেন, তাদের ইউনিয়ন চেয়ারমান অনেক বড়মনের মানুষ। তার মন-প্রাণ সব কিছু উদার। গরীব মানুষের জন্য সব সময় সর্বদা ভাল কিছু করেন তিনি।
দীর্ঘ প্রায় (১১) বছর ধরে ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি পৈত্রিক সূত্রে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। কিন্তু তিনি দলের কিছু লোকের প্রতিহিংসায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অথচ তারা কিছুই করতে পারেননি। ভাল কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় তাঁকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
বিধবা সখিনা বেওয়া, জোসনা বেওয়া, আলেফা বেওয়া, লিপি বেওয়া, জহুরা বেওয়ার মত অনেকে বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের ছেলের মত রাস্তা ঘাটে ডাকলে কথা বলে। তিনি অত্যান্ত সৎ ও যোগ্য মানুষ।
উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ ও মানুষের পাশে থাকার জন্য। আমার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখার মালিক আল্লাহ। যে কয়েক দিন বেঁচে আছি ততদিন যেন জনগনের পাশে থেকে ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারি। এটিই আমার আশা। ভোট জনগণের হাতে যাকে খুশি তাকে দিবে। তবে, আমি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে উপকারের চেষ্টা করছি। কিন্তু জনগণ আমার কথায় যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য সর্বক্ষণিক চেষ্টা চালাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও মৎস্যর উন্নয়ন ঘটিয়ে আমার ইউনিয়নকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো, ইনশাল্লাহ।