সোহেল রানা (শাওন), কক্সবাজার প্রতিনিধি:
ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত পবিত্র ঈদুল আযহা। সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি অপরিমেয় অনুগত্যের এক অপূর্ব ও অদ্বিতীয় নিদর্শন। একটি শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ধৈর্য্য ও সহনশীলতা অপরিহার্য। পবিত্র ঈদুল আযহার মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে আমাদের চিন্তায়, চেতনায় এবং কর্মে প্রতিফলন ঘটাতে হবে। চেষ্টা করতে হবে বাংলাদেশকে একটি সুন্দর, সফল, কার্যকর এবং শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে। ঈদ উল আযহার চেতনার আলোকে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সহনশীলতা, সহমর্মিতা, ধৈর্য্যশীলতা ও ত্যাগী মনোভাবকে প্রাধান্য দেয়া এবং চর্চা করাই হউক আমাদের পাথেয়। আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
ওয়াসিম রেজা বাণীতে বলেন, আমি বিশ্বাস করি পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলিম জাতির ভ্রাতৃত্ববোধকে আরো সুসংহত করবে, কল্যানকর করবে। ত্যাগের মহিমায় গড়ে উঠবে এক শান্তিপূর্ণ নতুন পৃথিবী ইনশাআল্লাহ। এই মহাদুর্যোগ কোভিড ১৯ এ পৃথিবীতে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তার ভয়াবহতা বাংলাদেশে আরো প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। ঈদুল আযহার ত্যাগের তাৎপর্য হৃদয়ে ধারণ করে আসুন আমরা আমাদের পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী, বন্ধু এবং পরিচিতদের মধ্যে, যাদের প্রয়োজন, তাদের পাশে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী দাঁড়াই।
বিলিয়ে দেই ঈদ সবার তরে, বাড়িয়ে দেই মানবিক সহায়তার হাত। তিনি দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে করোনা কালীন এই দুর্যোগ মুহূর্তে আসুন আমরা সকলে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে দল-মত নির্বিশেষে আরো বেশি সহানুভূতিশীল হই। সাধারণ মানুষের পাশে এই মুহর্তে দাড়ানো আমাদের সকলের দায়িত্ব এবং মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, মাস্ক পরিধান করি, নিজে সুস্থ থাকি এবং অন্যকে নিরাপদ রাখি।