স্টাফ রিপোর্টার, আশুলিয়া থেকে
ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ইয়ারপুরের রুপায়ন ১নং গেটের সমানে একই পরিবারের তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবা রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ গুলো উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আশুলিয়া থানার তদন্ত ওসি জিয়াউল হক।
নিহতরা হলেন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার চরগোরক মন্ডল গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক সবুর আলী (৩০), তার স্ত্রী মেডলার গার্মেন্টেস এর ফিনিশিং অপারেটর রোাজিনা (২৫) ও তাদের একমাত্র কন্যা সুমাইয়া(৮)।
মৃত সবুর আলী রুপায়ন ১নং গেটের সমানে ফজর আলীর বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করতেন । তার মেয়ে সুমাইয়া স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, গত বুধবার ৬০হাজার টাকা ধারদেনা করে একটি অটোরিকশা ক্রয় করে সবুর আলী। দুর্ভাগ্যবসত যেদিন অটোরিকশাটি ক্রয় করেন সেদিন-ই তার অটোরিকশাটি জামগড়া থেকে চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে জগড়ার সৃষ্টি হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে এরই সূত্রধরে প্রথমে স্ত্রী কন্যা কে হত্যা করে নিজে গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মাহত্যা করে সে।
দুদিন ধরে ঘরের দরজা না খোলা এবং নিকট আত্মীয়দের দেয়া ফোন রিসিভ না করায় তাদের নিকট আত্মীয়রা এবং বাসার অন্যানো ভাড়াটিয়ারা মিলিত হয়ে তাদের দরজায় বহুবার ধাকাধাক্কি করে কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় তারা আশুলিয়া থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশ গুলো উদ্ধার করে।
এ ব্যপারে আশুলিয়া থানা তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং লাশগুলো উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গুলোকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী কন্যাকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে তবে ময়নাতদন্তের পর হত্যাকান্ডের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।