ইউসুফ আলী খান, স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকার শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় অবৈধভাবে স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় স্থানীয় শাহিন পালোয়ানের পরিবারের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেছে আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় জলিল মাস্টারের ছেলে ফারুক ও তার বাহিনী। এঘটনায় নারী পুরুষসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। পরে স্থানীয় জনগণ তাদেরকে উদ্ধার করে ধামরাই এর ইসলামপুর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
রবিবার (১১ জুলাই) দুপুরে আশুলিয়ার কাঠগড়া বাগের চালা নিপ্পন চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযুদ্ধা নুরুল ইসলাম এর ছেলে পাপ্পু জানায়, শাহীন পালোয়ানকে কাঠগড়া এলাকার ৬ হাজার ৪৮০ মিটার রাস্তা কর্তন করে নিজস্ব খরচে স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণ করার অনুমতি দেন এলজিইডি’র সাভার উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ হাসান প্রামাণিক। কিন্তু স্থানীয় ফারুক আহমেদ তার নিজের নামে বরাদ্দকৃত ৭’শ মিটারের বাইরে অবৈধভাবে শাহীন পালোয়ানের অংশে স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণ করা শুরু করে। এর আগে থানা পুলিশ ও এলজিইডি’র কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তারা কোন পদক্ষেপ না নেয়নি। রবিবার ১১ জুলাই দুপুরে ফারুক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী জোরপূর্বক কাজ করতে গেলে আমারা পুলিশকে জানাই, পরে থানা পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করতে বললে পুলিশের সামনেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে ফারুক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এসময় স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবার বাঁধা দিতে এলে তাদের উপরও সন্ত্রাসী হামলা করে।সন্ত্রাসী হামলায় বৃদ্ধ ও নারীসহ ৭-৮ জনকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধোর করে ফারুকসহ ২৫/৩০জনের সন্ত্রাসী বাহিনী।
আহতরা হলেন, আলি আহম্মেদ মাষ্টার (৬৫), জিসান পালোয়ান (২৮), ইয়া ইয়ানুর পাপ্পু ( ২৭), পারভিন বেগম (৫০), আসিফ (১৮), সিহাব (২২), কাওসার পালোয়ান (২৮), লিপি বেগম (৩৫)।
এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা সালেহ হাসান প্রামাণিক বলেন, আগামীকাল ঘটনাস্থলে আমরা পর্যবেক্ষণে যাবো। যদি অভিযোগ সত্যতা পাওয়া যায় তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানের লিখিত নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবেন।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক এসআই সুদ্বীপ কুমার গোপ বলেন, আশুলিয়ার কাঠগড়ায় অবৈধ ভাবে স্যুয়ারেজ লাইনে কাজ করতে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ চলে আসার পর ফারুক ও তার ভাই আশরাফসহ তাদের উপর হামলা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফারুককে আটক করে। এব্যপারে আশুলিয়া থানার একটি মামলা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।পুলিশের উপস্থিতিতে কোন প্রকার মারামারির ঘটনা ঘটে নাই বলেও জানান তিনি।