জামালপুর, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সোহানুর রহমান
১৯৭৬ সালে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন গাজি জাহিদুল ইসলাম জেহাদ। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেরুরচর ইউনিয়নের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সাবেক সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মাওলা ও মাতা জাহানারা বেগমের চার সন্তানের সবার বড় তিনি।
মূলত পিতৃর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই দেশপ্রেম আর মানুষের কল্যাণে কাজ করতে সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় তার।
মননশীলতা ও নেতৃত্বের মেধাশক্তি বিকাশে ১৯৮৮ সালে শেরপুর উচ্চবিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর
কলেজ জীবনে পা রেখেই জেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ করেন
এবং সে সময়েই শেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সৎ সাহসী ও সংগ্রামী এই ছাত্রনেতা
রাজনৈতিক জীবনে এগিয়ে যাবার পথে ১৯৯৪ সালে নির্বাচিত হন শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগ মনোনীত ভিপি।
ততকালী সৈরাচার বিরোধী দুর্বার আন্দোলনে তার অকুতোভয় পদচারণায় চির সাক্ষী হয়ে থাকে নব্বই এর পিচ ঢালা কালো রাজপথ।
ছাত্ররাজনীতি আর ছাত্রজীবন শেষ করে নিজেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে দাঁড় করিয়ে জেহাদ যোগ দেন আওয়ামীলীগে। সেখানেও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শীতায় শেরপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এরপর
শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারপর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সহ সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই আওয়ামী নেতা নিজের অবস্থান দুখী মানুষের কাছাকাছি রাখতে ২০১৬ সালে মাতৃভূমি মেরুরচর ইউনিয়নের যুগযুগ ধরে অবহেলিত জনপদ আর নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কথা ভেবে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন।
সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন জেহাদ।
চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেবার পর প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ নদী ভাঙন ও বন্যা প্রবন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল ত্রাণ সহায়তা স্বচ্ছতার সাথে দুখী মানুষের দুয়ারে বিলিয়েন দেন তিনি।
গনমানুষের এই চেয়ারম্যানের নিরলস প্রচেষ্টায় ভিটেমাটি হারা মানুষের আশ্রয়ে মেরুরচরে দুটো গুচ্ছগ্রাম নির্মান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, কমিউনিটি ক্লিনিক সহ সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যাপক উন্নতি হয়। নেতৃত্বের দীর্ঘসময়ে গ্রাম্য শালিসিতে দালালী, মাদকতা, বাল্যবিবাহ সহ রাষ্ট্র বিরোধী সকল কাজের বিরুদ্ধে সাহসী ও কার্যকরী ভূমিকা রাখেন তিনি।
বিভিন্ন বক্তব্যে জেহাদ বলেন,
আমার যে রক্তে আওয়ামী রাজনীতি সে রক্তেই আমার জনসেবার আকাঙ্ক্ষা।
যতদিন বেঁচে আছি মানুষের সেবা করেই যাবো ইনশাআল্লাহ ।
তার দীর্ঘ নেতৃত্বে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মেরুরচরবাসী বলেন,
তার মতো উপযুক্ত ব্যক্তি আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে আসন্ন মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রামমুখী উন্নয়ন শতভাগ স্বচ্ছতায় বাস্তবায়ন হবে।
সুখ সমৃদ্ধি, আধুনিকায়নের লক্ষ্যে পৌঁছাবে মেরুরচর ইউনিয়ন।