প্রতিমা দাস, পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
কোনো ভাষায় পড়তে এবং লিখতে পারার সক্ষমতাকে সাক্ষরতা হিসেবে অভিহিত করা হয়।শিক্ষা গ্রহণের তাৎপর্যতা বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে।কেবল উন্নত দেশগুলোতেই নয়, বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশগুলোও শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক বিস্তার ঘটাচ্ছে। আজ ৮ সেপ্টেম্বর। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।
ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ১৪ তম অধিবেশনে ১৯৬৬ সালে ২৬ অক্টোবর ইউনেস্কো কর্তৃক ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে প্রতিবছর এ দিনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের লক্ষ্য – ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সমাজের মানুষের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ক্রমবর্ধমান। সাক্ষরতা বিস্তারে বিশাল অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কো স্বীকৃতিস্বরুপ “আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কার ১৯৯৮” লাভ করে। ২০২০ সাল অনুযায়ী বাংলাদেশ সাক্ষরতার হার ৭৪.৭০ শতাংশ।
সকল স্তরের মানুষের শিক্ষা গ্রহণ এবং সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও বিবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমেই বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করা সম্ভব।