1. admin@kholanewsbd24.com : admin :
আজ সোহাগপুর গণহত্যা দিবস - খোলা নিউজ বিডি ২৪
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নড়াইলে ৩৯ টি ল্যাপটপ ও বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল উদ্ধারের স্বীকৃতিস্বরূপ আইজিপি অর্থ পুরস্কার ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি যন্ত্রাঅংশের মাধ্যমে বোরো ধান কাটা মাড়াই করছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গীতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মধ্যরাতে যুবক খুন, তদন্তে মাঠে পুলিশ পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের মায়ের ইন্তেকাল সিআইডি প্রধানের সাথে Mr. Ryu কান্ট্রি ডিরেক্টর,KOICA, বাংলাদেশ এর সাক্ষাৎ জামালপুরে জমি বেদখলের পুনরুদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে ব্লাস্টের আয়োজনে অধিকার সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে পুলিশ সুপারের প্রত্যক্ষ তদারকিতে সাদুল্যাপুরে গুলি ভর্তি বিদেশী পিস্তল সহ যুবক আটক

আজ সোহাগপুর গণহত্যা দিবস

প্রশাসন
  • সময় : রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১
  • ২৩৩ বার পঠিত

আজ ২৫ জুলাই সোহাগপুর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নৃশংস গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাঁকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনী এদিন ভারত সীমান্তঘেঁষা এ গ্রামের সকল পুরুষ মানুষকে হত্যা করে। সকল পুরুষ মানুষকে হত্যা করায় এই গ্রামের নাম হয় বিধবাপল্লী। এই পল্লীতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ৫৬ জন বিধবা বেঁচে ছিলেন। বর্তমানে ২৩ জন বিধবা বেঁচে আছেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিধবাদের ভাগ্য বদল হয়েছে। উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে সোহাগপুর গ্রামে। ইতোমধ্যেই ২৯ বিধবাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ লাখ টাকা মূল্যের একটি করে পাকাবাড়ি উপহার দিয়েছেন। ১৪ জন বীরঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিধবাপল্লীতে পাকা সড়ক হয়েছে। কাঁকরকান্দির বুরয়াজানি গ্রামে শহীদদের স্মরণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় করে দিয়েছেন স্থানীয় এমপি বেগম মতিয়া চৌধুরী। এছাড়াও সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর শহীদদের স্মৃতি রক্ষার জন্য জেলা পুলিশ বিভাগের সদস্যরা তাদের বেতনের টাকা দিয়ে বিধবাদের জমি কিনে দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বিধবা হাফিজা বেওয়া বলেন, ‘স্বামী-স্বজনদের মেরে ফেলার পর আমরা ভিক্ষা করে ভাত খেয়েছি। শেখ হাসিনা ও মতিয়া চৌধুরী আমাদের জন্য অনেক করেছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও ভাতা পাচ্ছি। পাাকাঘরে শান্তিতে ঘুমচ্ছি। আমাদের চাওয়া পাওয়ার আর কিছু নেই। শুধু দোয়া করি হাসিনাকে আল্লাহপাক বাঁচিয়ে রাখুক।’
ওই গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ছফির উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন বলেন, বিধবারা সুখের মুখ দেখলেও তাদের সন্তানরা কষ্টে চলেন। তাদের জন্য সরকারীভাবে কর্মসংস্থানের দাবী জানান তিনি। এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষে কোরানখানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পাকবাহিনীর একটি দল ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সকাল সাতটায় সোহাগপুর গ্রামটি ঘিরে ফেলে। এসময় গ্রামের পুরুষ মানুষ যাকে যেখানে পেয়েছে তাঁকেই গুলি ও ব্রাশ ফায়ার করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। বর্বরতা এখানেই শেষ নয়। গ্রামের কিশোরী ও গৃহবধূদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় পাক হানাদার বাহিনী। মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে গ্রামের ১৮৭ জন পুরুষ মানুষকে হত্যা করা হয়। সেই থেকে সোহাগপুর গ্রামের নাম হয় বিধবাপল্লী। গণহত্যা শেষে রাজাকার আলবদররা ঘোষণা দেয় নিহতরা কাফের। এদের লাশ দাফন করা যাবে না। ফলে ভয়ে আতঙ্কে অনেকেই সেদিন তাদের স্বজনকে ফেলে রেখে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে চলে যায়। প্রিয় স্বজনের লাশ হয় শিয়াল কুকুরের খাবার। কেউ কেউ রাতের আধারে এসে গোসল, জানাজা ছাড়া গর্ত করে একসাথে অনেকের মৃতদেহ গ্রামের বিভিন্নস্থানে মশারী ও কাথা পেঁচিয়ে পুঁতে রাখে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সোহাগপুরের খবর জানতো না কেউ। এসময় ভিক্ষা করে জীবন চলতো বিধবাদের। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এলাকার এমপি হয়ে সর্বপ্রথম সোহাগপুরের বিধবাদের জনসম্মুখে আনেন। তিনি নিজ তহবিল থেকে শহীদ জায়াদের জন্য চাল ও ভাতার ব্যবস্থা করে দেন। ছাগল কিনে দিয়ে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা শুরু করেন। পরে তার চেষ্টায় সেনাবাহিনী, ট্রাস্ট ব্যাংক, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক বিধবাদের মাসিক অর্থ সহায়তা দেয়া শুরু করেন ।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা